আমাজন ও আলী এক্সপ্রেস, বর্তমান পৃথিবীর দুই ই-কমার্স জায়ান্ট। আলী এক্সপ্রেসের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা আমাজনের জন্যে চিন্তার বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে আলী এক্সপ্রেসের এই জনপ্রিয়তার কারণ একই পণ্য আমাজনের চাইতে কম মূল্যে পাওয়া। আমাজনে পণ্যগুলো পৌঁছায় ৩য় পক্ষের মাধ্যমে, অন্যদিকে একই পণ্য আলী এক্সপ্রেসে ক্রেতাগণ ক্রয় করতে পারেন সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ৩য় পক্ষের খরচ যুক্ত না হওয়ায় পণ্যগুলো অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাওয়া যায়।
আলী এক্সপ্রেসের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি প্রমাণ প্রাইম ডে নামে খ্যাত আমাজনের বাৎসরিক ডিসকাউন্ট ডে যা প্রতি বছর ২১ ও ২২ জুন পালন করা হয় যেখানে আমাজনের গত বছরের (২০২০) সেল ছিলো ১০.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার সেখানে আলী এক্সপ্রসের বাৎসরিক ডিসকাউন্ট ডে যা প্রতিবছর ১১ নভেম্বার পালন করা হয় তার ১ ঘন্টার সেল ছিলো ১৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার! এবং সিংগেল ডে সেল দাঁড়ায় ৭৪.১ বিলিয়ন ইউএস ডলার! (তথ্য সুত্র: ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল, ইয়াহু ফাইন্যান্স, CNN)।
সম্প্রতি আলী এক্সপ্রেস গ্লোবাল কনজুমার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার যে নতুন কর্ম পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা সেটাকে আমাজনের জন্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন, কারণ ২০২৫ সাল নাগাদ গ্লোবাল ই-কমার্স মার্কেট ভ্যালু দাঁড়াবে প্রায় ১.৪ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার। আর এই মার্কেট দখলের জন্যে দুই জায়ান্টের মধ্যে যে লড়াই হবে এটাই স্বাভাবিক।