অনলাইনে সাধারণ ইউজারদের জন্যে যেসব হোস্টিং সার্ভিস ক্রয় করতে পাওয়া যায় তার মধ্যে শেয়ার্ড ও ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং অন্যতম। আসুন সহজভাবে জেনে নেয়া যাক শেয়ার্ড ও ক্লাউড হোস্টিং এর পার্থক্য।
শেয়ার্ড হোস্টিং কাকে বলে?
শেয়ার অর্থ কারো সাথে কিছু শেয়ার করা, একটি সার্ভার কম্পিউটার যখন একাধিক ব্যবহাকারী ওয়েব হোস্টিং এর জন্য ব্যবহার করেন তখন একে শেয়ার্ড হোস্টিং (shared hosting) বলা হয়, কারণ তারা একটি সার্ভার কম্পিউটারের সকল রিসোর্সেস যেমন র্যাম, প্রসেসর, ডিস্ক ইত্যাদি পরস্পরের সাথে শেয়ার করে ব্যবহার করলো।
ক্লাউড হোস্টিং কাকে বলে?
অপরপক্ষে যখন একাধিক সার্ভার কম্পিউটার পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে একটি সম্মিলিত শক্তির সার্ভার সিস্টেম ( ক্লাউড সার্ভার ) তৈরি করা হয় এবং ব্যবহারকারীগণ তাতে ওয়েব হোস্টিং করেন তখন তাকে ক্লাউড হোস্টিং বলা হয়। ক্লাউড হোস্টিংয়ে একাধিক সার্ভার কম্পিউটারের সকল রিসোর্সেস যেমন প্রসেসর, র্যাম, ডিস্ক পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে, ব্যবহারকারীগণ তাদের প্রয়োজন মতো সেসব রিসোর্সেস থেকে ব্যবহার করার সুযোগ পান, সেক্ষেত্রে কারো হঠাৎ বেশি রিসোর্সেস প্রয়োজন হলে খুব সহজেই তিনি তা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
ক্লাউড ও শেয়ার্ড হোস্টিং এর মধ্যে কোনটি বেশি গ্রহনযোগ্য?
নির্দ্বিধায় ক্লাউড হোস্টিং কারণ, একজন বা সবার জন্যে শেয়ার্ড সার্ভার ওভারলোড হয়ে গেলে পুরো সার্ভার ডাউন হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সবার ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যাবে, অপরদিকে ক্লাউড সার্ভার যেহেতু একাধিক সার্ভারের সম্মিলিত শক্তি (Chain of multiple servers) এবং ব্যবহারকারী শুধু তার জন্যে নির্ধারিত রিসোর্সেসটুকুই ব্যবহার করতে পারেন তাই যদি তার ওয়েবসাইট যদি ওভারলোডেড হয়ে যায় সেক্ষেত্রে মূল ক্লাউডের অন্য ব্যবহারকারীদের কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হয় না, এবং সার্ভার সবসময় অনলাইনে থাকে, এবং যার সাইট ওভারলোড হয়ে গেছে তিনি তার বাড়তি প্রয়োজনটুকু ক্লাউড থেকে বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এদিক দিয়ে বিবচনা করলে সার্ভার আপ টাইম যেহেতু সবার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই ওয়েব হোস্টিং এর জন্যে ক্লাউড সার্ভারই বেশি গ্রহনযোগ্য। ভবিষ্যৎ ক্লাউড সার্ভারের, আগামীতে হয়তো সাধারণ সাধারণ শেয়ার্ড হোস্টিং লুপ্ত হয়ে তার স্থানে ক্লাউড সার্ভার শেয়ারিং আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।