এফিলিয়েট প্রোগ্রাম কাকে বলে?

এফিলিয়েটর আভিধানিক অর্থ ‘শাখা’ বা ‘অন্তর্ভূক্ত করা’। ওয়েবে ‘এফিলিয়েট’ শব্দটি সুনির্দিষ্ট কোন সার্ভিসের বিষয়ে পরিচিত/অপরিচিতজনদের ‘সুপারিশ’ (Recommend) করে সার্ভিসটি প্রদানকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সাথে মুনাফা শেয়ার করা বোঝানো অর্থে ব্যবহৃত হয়।
আর কোন কোম্পানীর সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতির অধীনে যে এফিলয়েট সিস্টেম চালানো হয় তাকে সেই কোম্পানীর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বলা হয়।

এফিলিয়েট প্রোগ্রাম কিভাবে কাজ করে?
এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেককে একেকটি আলাদা রেফারাল লিংক দেয়া হয়। লিংকটিতে ওয়েবসাইটের ঠিকানার সাথে অংশগ্রহনকারীর ইউজারনেম অথবা নাম্বার দেয়া থাকে। যেন অংশগ্রনকারীগণকে তাদের রেফারকৃত ক্লায়েন্টেদের থেকে অর্জিত মুনাফা প্রদানের জন্যে চিহ্নিত করা যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে?
যখন কেউ নিজের সোশাল নেটওয়ার্কে যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদিতে অথবা ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন কোম্পানীর এফিলিয়েট পণ্যের বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রচার করেন তখন সেটাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
এফিলিয়েট ও রিসেলার বা ড্রপ শিপিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
এফিলিয়েট মার্কেটং ও রিসেলিং করা এক বিষয় নয়। এফিলিয়েট ও রিসেলিং এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নিচে দেয়া হলো।
- এফিলিয়েট হলো কোন পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে আগ্রহী ক্রেতাগণকে মূল বিক্রয়কারীর নিকট প্রেরণ করা। এতে ক্রেতাগণ প্রচারকারী ও বিক্রয়কারীকে আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারেন। পক্ষান্তরে রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং হলো মূল বিক্রয়কারীর নিকট থেকে কোন পণ্যে ক্রয় করে নিজ ক্রেতাগণের নিকট ‘পুনরায়‘ তা বিক্রয় করা, এক্ষেত্রে ক্রেতা মূল বিক্রেতাকে আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারেন না।
- এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী পণ্যের মূল্য নিজে নির্ধারণ করতে পারেন না, অন্যদিকে রিসেলিং পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারী পণ্যের মূল্য নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী নির্ধারণ করতে পারেন।
- এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীকে পণ্যের সংরক্ষণ, প্যাকিং ও ডেলিভারী বিষয়ে কিছুই তত্বাবধান করার প্রয়োজন হয়না, অন্যদিকে রিসেলিং পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারীকে পণ্যের সংরক্ষণ, প্যাকিং ও ডেলিভারীসহ সংশ্লিষ্ট সকল কিছু তত্বাবধান করার প্রয়োজন হয়।
এফিলিয়েট প্রোগ্রামে কারা অংশগ্রহণ করতে পারে?
এফিলিয়েট প্রোগ্রাম কি এবং কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয় এ সম্বন্ধে যারা ধারণা রাখেন তারা সবাই এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। সেই সাথে যে কোম্পানীর এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চান তাদের যদি কোন বিশেষ রিকয়ারমেন্ট (Requirement) থাকে তবে সে যোগ্যতাও থাকতে হবে। তবে সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণকারীর মান-সম্মত একটি ওয়েবসাইট থাকাই যথেষ্ট হয়, সেটা সাধারণ ব্লগ অথবা ই-কমার্স যেকোনটাই হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ছাড়াও ফেসবুক প্রোফাইল, পেজ অথবা ইউটিউব একাউন্ট ব্যবহার করেও বিভিন্ন কোম্পনীর এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা যায়।